মাওলানা কারী ইব্রাহিম উজানী রহ.

কারী ইব্রাহিম উজানি (১৮৬৩ – ১৯৪৩) ছিলেন অবিভক্ত বাংলার একজন দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহিমিয়া উজানি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির খলিফা ছিলেন। তার খলিফা সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক। সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক থেকে বাংলাদেশে চরমোনাই আধ্যাত্মিক ধারার প্রসার ঘটে।…

দায়িত্ব

আমীরুল মুজাহিদীন, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি

লিখিত বই

বই-১, বই-২, বই-৩

প্রতিষ্ঠাতা

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

উল্লেখযোগ্য কাজ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, চরমোনাই মাদরাসা

জীবনী
কারী ইব্রাহিম র. ১৮৬৩ সালে বাংলাদেশের প্রসিদ্ধতম জেলা শহর নোয়াখালীর সুধারাম থানা অন্তর্গত নলুয়া গ্রামে তাঁর শুভজন্ম হয়।তাঁর পিতার নাম ছিল জনাব পানা মিঞা ভুঁইয়া। হযরত ক্বারী সাহেব রাহ. এর দাদা জনাব বদরুদ্দীন ভুঁইয়া তখনকার একজন বিশিষ্ট জমিদার ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি যেমন শিক্ষিত জ্ঞানী ছিলেন,তেমনি ছিলেন ভদ্র ও প্রভাবশালী। তাঁর ঔরসে দু’জন ছেলে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁদের একজনের নাম ছিল ননা মিঞা অপর জনের নাম ছিল পানা মিঞা।

তিনি ছিলেন পানা মিঞার ভুঁইয়ার সু-সন্তান। পিতার উওরসূরী হিসেবে পানা মিঞা সাহেব ও পরবর্তীতে একজন প্রভাবশালী জমিদার হয়েছিলেন। সে পরিবেশেই হযরত ক্বারী ইব্রাহীম সাহেব রাহ. ধীরে ধীরে বড় হতে লাগলেন।

তিনি নিজ এলাকায় আরবি ও ফার্সির প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় কিছুদিন লেখাপড়া করেন।

এরপর তিনি মক্কা গমন করে মাদ্রাসা আস-সাওলাতিয়ায় ভর্তি হন। এ মাদ্রাসায় তিনি প্রসিদ্ধ কারী বরকসুসের কাছে কেরাত শিক্ষালাভ করেন। এসময় মক্কার শাসক তার কুরআন তিলাওয়াত শুনে তাকে মাদ্রাসা আস-সাওলাতিয়ায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আদেশ দেন। তিনি সেখানে ১২ বছর শিক্ষকতা করেছেন।
শিক্ষকতাকালে মক্কার এক মেয়ের সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ৩০ বছর বয়সে তিনি মক্কা থেকে সস্ত্রীক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।

চাঁদপুর জেলার রামগঞ্জ থানার দৌলতপুর গ্রামের এক মাহফিলে তার কুরআন তিলাওয়াত শুনে স্থানীয় এক ব্যক্তি তার কন্যাকে তার সাথে বিবাহ দেন, তখন থেকে তিনি সেখানে বসবাস শুরু করেন। সেখানে মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯০১ সালে তিনি জামিয়া ইসলামিয়া ইব্রাহিমিয়া উজানি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির নিকট বায়আত গ্রহণ করেছিলেন। বায়আত গ্রহণের ১৮ দিন পর তিনি খেলাফত লাভ করেন। সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক তার শিষ্য ছিলেন। তার থেকে চরমোনাই আধ্যাত্মিক ধারা প্রসার লাভ করে।

তিনি ১১ ছেলে ও ৭ মেয়ের জনক। ১৯৪৩ সালে তিনি উজানির নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।

একনজরে বামুক

  • প্রতিষ্ঠাতা : মাওলানা সৈয়দ এসহাক রহ.
  • বর্তমান আমীর : মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম
  • সেক্রেটারি জেনারেল : খন্দকার গোলাম মাওলা
  • প্রতিষ্ঠার তারিখ : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২
  • কার্যকরী সদর দপ্তর : ৩৭/১ (৬ষ্ঠ তলা, ফারজানা টাওয়ার), নর্থব্রুক হল রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০

মুজাহিদ আবেদন ফরম

চরমোনাই তরিকার মুজাহিদ হওয়ার জন্য নিম্নোক্ত ফরমের মাধ্যমে আবেদন করুন

বই অর্ডার ফরম

মুজাহিদ নিবন্ধন ফরম

চরমোনাই তরিকার মুজাহিদগণের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত ফরমের মাধ্যমে নিবন্ধন করুন

হালকায়ে যিকির কমিটির রেজিস্ট্রেশন ফরম

চরমোনাই তরিকার হালকায়ে যিকির কমিটি নিম্নোক্ত ফরমের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করুন