বইটির সম্পর্কে কিছু কথা
অজস্র চিঠি প্রতিদিন আমাদের হাতে আসছে। দেশ-বিদেশের অনেকেই এ সম্পর্কে আমাদের অবস্থান ও মতামত জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু দুটি কারণে এ পর্যন্ত এ বিষয়ে আমরা সযত্ন নীরবতা অবলম্বন করে এসেছি।
প্রথমতঃ এ ধরনের বিলাসী’ আলােচনা আমাদের মােটেও পছন্দ নয়। কেননা আমরা আমাদের সীমিত সাধ্য ও কর্মশক্তি সেই সব বুনিয়াদী সমস্যার মােকাবেলায় নিয়ােজিত রাখতে চাই, যা সামগ্রিকভাবে গােটা ইসলামী উম্মাহর অস্তিত্বের জন্য আজ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। | দ্বিতীয়তঃ আলােচ্য বইয়ের যে অংশটি দেশের সর্বত্র আজ নিন্দাসমালােচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছে তা এতই নাযুক ও সংবেদনশীল যে, সে সম্পর্কে কোন রকম আলােচনার সূত্রপাত করা বর্তমান সময়সন্ধিক্ষণে কারাে জন্যই আমরা সমীচীন মনে করি না।
ছাহাবা কেরামের মােবারক জামা’আত সম্পর্কে আমাদের মৌলিক বিশ্বাস এই যে, চাঁদ-সুরুজ, আসমান-যমীন তথা গােটা সৃষ্টিজগত নবী রাসূলগণের পর তাদের চেয়ে উত্তম চরিত্রের মানুষ কোন দিন দেখে নি। ন্যায় ও সত্যের এ মহান কাফেলার প্রত্যেক সদস্য এমন শিশির-শুভ্র চরিত্রের অধিকারী ছিলেন, যার একটি মাত্র দৃষ্টান্তও খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয় মানুষের সভ্যতার সুদীর্ঘ ইতিহাসে। প্রবৃত্তির সব রকম মলিনতা থেকে তাঁদের হৃদয় ছিলাে চিরমুক্ত; নূরের তাজাল্লীতে ছিলাে চিরমিগ্ধ। আল্লাহর দ্বীনকে দুনিয়ার বুকে বুলন্দ করার জিহাদে তাঁরা ছিলেন নিবেদিত এবং আসমানী নির্দেশের সামনে ছিলেন কৃতার্থ, অবনত। মানবীয় দুর্বলতাবশতঃ তাঁদের কারাে জীবনে কখনাে কোন বিচ্যুতি ঘটে থাকলেও আল্লাহ তা ক্ষমা করে তাঁদের জান্নাতী বলে ঘােষণা করেছেন।